লীরা (ছদ্মনাম): আপু আমার আর বাচার কোন ইচ্ছে নেই, আমার জীবনের সবই তো শেষ। আমি হিন্দু মেয়ে বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ। আমার ফ্যামিলি মোটামুটি সচ্ছল, আমি ক্লাস টেনে থাকাকালীন এক মুসলমান ছেলের সাথে রং নাম্বারের সুত্র ধরে পরিচয় তারপর প্রেম হয়। ছেলেটির নাম শাওন ঢাকায় থাকে। আমাদের সম্পর্ক খুব ভালই চলছিল। দিনের বেশিরভাগ সময়ই আমরা ফোনে কথা বলতাম। অনার্সে ভর্তি হবার পরপরই আমার বিয়ে ঠিক হয়। আমি শাওনের সাথে কথা বলে বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকায় চলে আসি। ইসলাম ধর্ম গ্রহন করি। তারপর আমাদের বিয়ে হয়। ও আমাকে যাত্রাবাড়ী এক বাসায় রাখে। বলেছিল কিছুদিন পর আমাকে বাড়িতে নিবে। সেভাবেই চলছিলো। হঠাৎ জানতে পারলাম সে বিবাহিত। তবুও আমি মেনে নিয়েছিলাম। কারন আমার পিছু ফেরার কোন উপায় নাই। মাসখানেক পর একটা বাচ্চা সহ ওর বউ এসে হাজির হয় আমার বাসায়। আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। শাসিয়ে যায় শাওন কে তালাক দেবার জন্য। এই নিয়ে শাওনের সাথে আমার অনেক ঝগড়া হয়। শাওনকে বলতেই সে আমাকে মারধোর করে। শাওনের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর বড় ভাই পুলিশ অফিসার। সে ও আমায় ফোনে হুমকি দিতে থাকে। একদিন ওই মহিলা তার বন্ধুদের নিয়ে আবার আমার বাসায় এসে আমাকে মারধর করে। অবশেষে শাওন আমাকে এক লাখ টাকা দিয়ে তালাক দিয়ে দেয়। আপু, যাকে আমি জীবনের চেয়ে বেশি ভালবাসলাম, যার জন্য ধর্ম ত্যাগ করলাম সেই আমার সাথে এমন করলো। এই শহরে আমি নতুন। আমি এখন কোথায় যাব। আমার কি এখন আত্মহত্যা ছাড়া কোন পথ নেই। আপু আমার কি ভুল ছিল আপনি বলতে পারেন?
*পরামর্শ*
তোমার সাথে যা ঘটেছে সেটা নিতান্তই অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত, যেহেতু তুমি ধর্ম ত্যাগ করেছো সেহেতু তোমার বাড়িতে তোমাকে ফিরিয়ে নিতে চাইবেনা। এই মুহুর্তে আমি তোমাকে কি বলে সান্তনা দিব বুঝতে পারছিনা। আমি পাঠকদের কাছে তোমার প্রশ্নটি ছুড়ে দিলাম। দেখি তারা কি উপদেশ দেয়।
বি: দ্র: আমরা শুধুমাত্র মানুষিক শক্তির জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকি। আইনগত সহযোগীতার জন্য অবশ্যই বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও আদালত আছে। সমস্যা অতি গুরুতর হলে সেখানে গেলে আপনি অবশ্যই আইনি সহায়তা পারেন।
0 comments:
Post a Comment