সব সংশয় ছাপিয়ে অবশেষে বাংলাদেশ সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ‘এ দেশের গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হচ্ছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বৈঠকে দলের পক্ষ থেকে এমন বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। হোটেল সোনারগাঁওয়ে রবিবার বিকাল ৪টা থেকে ৪টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত খালেদা জিয়া ও নরেন্দ্র মোদির বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান গণমাধ্যমের কাছে ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন। এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ জানান, নরেন্দ্র মোদি ও খালেদা জিয়ার মধ্যে ওয়ান টু ওয়ান বৈঠক হয়েছে। মোট ৪৫ মিনিটের বৈঠকের ৩০ মিনিট ছিল দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক। পরবর্তী ১৫ মিনিট দুই নেতার মধ্যে একান্ত বৈঠক হয়। তবে ১৫ মিনিটের একান্ত বৈঠকে দু'জনের মধ্যে কী কথা হয়েছে এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারেন নি তিনি।
রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিকেলে মোদি-খালেদার বৈঠক হয়। বিকেল চারটায় এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান ও সাবিহ উদ্দিন আহমেদ।
এদিকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বশীল কোনো পদে বা বিরোধী দলে না থাকায় মোদির সফরে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্য সময় থাকবে কি না- তা নিয়ে সংশয় দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত বৈঠক হওয়ায় খুশি দলটির নেতা-কর্মীরা। তাদের মতে, এই বৈঠক বিএনপির রাজনৈতিক টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করবে। ২০১৩ সালের ৪ মার্চ ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠকটি হরতালের অজুহাতে বাতিল করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যে ভুল করেছিলেন তা শোধরাতে চান তিনি। পাশাপাশি, ভারতের সঙ্গে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরি করতে সব ধরনের প্রতিশ্রুতিও দেন বিএনপি প্রধান।
এদিকে, বৈঠকে উপস্থিত থাকা একটি সূত্র নিশ্চিত করে বলেছে, বাংলাদেশে এ মুহুর্তে মধ্যবর্তী নির্বাচনের জন্য বিএনপি যে দাবিটি তুলেছে তা নিয়ে আরো একটু সময় নিয়ে ভারতকে ভাবতে হবে। মোদি খালেদাকে আরো বেশি গঠনমূলক রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরির কথা বলেন। বিশেষ করে সরকারের ভালো কাজের প্রশংসা করার যে ঐহিত্য বাংলাদেশের রাজনীতিতে নেই, তা ফিরিয়ে আনলেই চলবে।
0 comments:
Post a Comment