Desh Bangla 24: একজন দেশপ্রেমিক হিসেবে অবশ্যই আপনারো পড়া উচিত এই প্রতিবেদন…
,                              সদ্য সংবাদ:

Friday, June 5, 2015

একজন দেশপ্রেমিক হিসেবে অবশ্যই আপনারো পড়া উচিত এই প্রতিবেদন…



আসলে আমারা বাঙ্গালিরা এমন এক জাতি যারা নিযেদের ভালো বোঝার চেষ্টা কখনই করি না।
আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস ্তাই কিছু লিখলাম। যারা পড়বেন প্লিজ পুরটাই পরবেন।
এইত কিছুদিন আগের কথা। আমরা সকলেমিলে চেষ্টা চালিয়ে ৯০ কোটি টাকা ব্যয় করে গ্রিনেস বুকে একটা রেকর্ড এর নাম লিখি।আমরা সবাই মিলে একত্রে জাতিয় সঙ্গিত গেয়েছিলাম ৯০কোটি টাকা ব্যয় করে। ন্বিঃসন্দেহে এটি অনেক ভালো একটি রেকর্ড যা গ্রিনিজ বুকে স্থান তৈরি করে নেয়।
তবে আমার জানা নেই ৯০কোটি টাকার নির্মিত সেই রেকর্ড আমাদের মাঝে আছে কি না।এটাও জানি না ঐ ৯০কোটি টাকা কতটা আমাদের উপকারে এসেছে।
তার কিছুদিন আগে আমরা আরো একটা রেকর্ড করেছিলাম বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানব পতাকা গড়ার।যেখানে ২০১৩ সালের ১৬ই ডিসেম্বরে ২৭হাজার ১১৭ জনকে নিয়ে আমরা বাংলাদেশীরা কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে আমরা এই একটি রেকর্ড গড়ি। যা পাকিস্তানের গড়া মানব বন্ধনের রের্কড ভেঙ্গে ফেলে। কি হলো সেই রেকর্ড গড়ে ??? আমাদের ঠিক দুই মাস পড়েই সে রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলে সে পাকিস্তানিরাই ?? যানি না এখনেও সেই কোটি টাকা কতটা কাজে এসেছিলো।
তবে এখানে আমরা যা পেয়েছি পৃথিবির প্রথম কোনো জাতি হিসাবে নিজেদের পায়ের নিজে নিজেদের জাতীয় পতাকে ফেলে উল্লাস করার রেকর্ড। পৃথীবির কোনো জাতি এমন ঘ্রিনিত কাজ আগে করে নাই। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো ২ মাসের ভিতরে চিরসত্রু পাকিস্তানের কাছে আমাদের পতাকার মর্যাদা কমানো।
আমারা সত্যিকার দেশ প্রেমিক হিসেবেতো কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে পতাকার আর জাতির অপমান্তো করিয়েই নিলাম যার কোনো প্রয়োজন ছিল না।অথচ আমাদের পাশের ছোট আসলে অনেক ছোট একটি রাষ্ট্র তাদের টাকাকে কিভাবে দেশের ও জাতির কাজের জন্য লাগিয়েছে দেখেছেন কি ??
হ্যা আমি ভুটানের কথা বলছি। তারা আয়তনে প্রায় আমাদের ৪ ভাগের একভাগ দেশ।অত্থনৈতিক দিক থেকেও আমাদের চেয়ে তারা অনেকটাই পিছিয়ে।তাদেরো ইচ্ছে ছিল আমাদের মত গ্রিনিজ বুকে রেকর্ড গড়ার।
আর তাদের এই রেকর্ড গড়ার জন্য প্রয়োজন পরে নাই ৯০ কোটি টাকার কিংবা ২৭ হাজার ১১৭ জনের বা লক্ষ্য লক্ষ্য জনের।
তাদের এই বিশাল রেকর্ড গড়ার জন্য প্রয়োজন পরেছিল মাত্র ১০০ জন সৎ সেচ্ছাসেবকের।
তারা ঐ মাত্র ১০০ জন সেচ্ছে সেবক নিজেদের পরিশ্রমে মাত্র এক ঘণ্টায় ৪৯ হাজার ৬৭২টি গাছ লাগিয়েছেন। যেখানের না তারা তাদের দেশের না পতাকার না জাতির অপমান করেছেন। আসলে তারা এমন কিছুই করেন নাই যাতে তাদের জাতি অপমান বোধ করবে।
বরং তারা এমন একটি মহৎ কাজ করেছে যায় ফল তাদের জাতি অবশ্যই অবশ্যই ভোগ করবেই।
প্রতিটি দেশের ভুখন্ডের অন্তথ ২৫ শতাংশ বনায়নের প্রযোজন পরে। আমাদের দেশে যায় পরিমান প্রায় ১৭ শতাংশ এবং যার পরিমান দিন দিন কমেই চলছে।অথচ এ দিকে আমাদের কোনো প্রকারের আগ্রিহই নাই। নেই কার দেশ বাচানোর সৎ সাহস। শুধুমাত্র বছরে একবার ফেস্টুনে বড় করে পরিবেশ বাচাও লিখে একটা রোডশো দিয়েই আমাদের কাজ শেষ।
আমরা সবাই কথায় দেশপ্রেমিক। অথচ কাউকে যদি বলা হয় আপনিতো দেশ প্রেমিন তাই না ??
- সে উত্তর দিবে হ্যা অবশ্যই।
আপনি তাকে প্রশ্ন করুনতো আপনি আপনার সারাটা জিবিনে দেশের ভালোর জন্য করেছেন এমন একটা কাজের নাম বলুনতো ??
তার কাছে এর কোনো উত্তর পাবেন না। কারন এর উত্তর তার কাছেও নেই।
আমরা এসব ব্যায়করা অর্থ যদি ভালো কাজে লাগাতাম বা গাছ লাগাতাম ঐ অর্থের তবে একবার চিন্তা করে দেখুন আজকের এই দিনে আমাদের ভুখন্ডে কি পরিমানের গাছ বেড়ে যেত ??
৯০ কোটি টাকা দিয়ে অন্তথা আমরা ১০ কোটি চারাগাছ রোপন করতে পারতাম।
আর এই কাজের জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে মনেকরি কোনো মানুষকে ভাড়া করে আনার প্রয়োজন হতো না।
এমনকি সেই ৯০ কোটি টাকারো প্রয়োজন পড়ত না যদি শুঢু একবার কোনো সেলেব্রেটিরা গাছ লাগানোর ঘোষনা দিতো।
কিন্তু তাদের বা সরকারের বা আমাদের কারোই কিছু আসে যায় না এতে। পরিবেশের বিপর্যয়েতো সেলেব্রেটিদের আর কিছু আসে যায় না তারাতো থাকবেন AC রুমে।
আসলে আমরা হলাম অনেক আবেগি জাতি। আবাগের বসে যে কোনো কাজ সহজেই করতে পারি। যেমন কিছুদিন আগে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক এর ডাকে ২৬ মার্চে একরাতেই আমরা বিনা সার্থে নিজেদের খরচেই সারারাত নেটে কাজ করে গুগলে আমাদের ভাষাকে সম্রিধ করেছিলাম।
আমাদের পার্শ্ববর্তি দেশ ইন্ডিয়া যেখানে গত কিছুদিনের অতিরিক্ত গরমের কারনে প্রায় দু হাজারেরো বেশী মানুষ মারা যায়। তবুও আমাদের নেই কোনো ভয় নেই কোনো চিন্তা। তার কিছুদি আগে নেপালে কি পরিমান ক্ষয়খতিটা হয় ভুমিকম্পের কারনে দেখেছেন কি ???
দেখেছেন কি পরিবেশের বিপর্যয় ????
আসলে মানুষ যা দেখে তাইতো শেখে। আমরা ছোট থেকেই শিখেছি "নিজে বাচলেই বাপের নাম"। অথচ আমরা কখন জাত দেশ বা আমাদের সন্তান বা পরবর্তি প্রজন্মকে নিয়ে ভাবে নাই।
আসলে আমি এখানে লেখাটি দিলাম যার কারন হলো আমার এই লেখা হয়তোবা অনেকেই পড়বেন। তাদের অনেকের পক্ষে গাছ লাগানোর উতসাহ অন্যদের কাছে পৈছে দেওয়াও সম্ভব। তারা চাইলে যে কোনো সময় "আইস ব্যাকেট চেলেঞ্জ" এর মত একটি পদক্ষেপ নিয়ে দেশে গাছ রোপনের পরিমান বাড়িয়ে নিতে।
যেখানে একজন ব্যক্তি গাছ লাগিয়ে দেশের প্রতি তার অবদানের কথা সোসাল সাইটে জানিয়ে আরো ১০ জনকে এই কাজের জন্য অনুপ্ররনা জাগাতে পারেন।।
তারা চাইলে ডাক দিতে পারেন "কনসার্ট ফর ট্রি প্লাটেশনের"।।
যেখানে তারা একটি দিনের কনসার্টের বিনিময়ে দেশে লক্ষ লক্ষ চারা লাগিয়েও নিতে পারেন।
আমি বলবো না এমনটাই করা উচিত। তবে বলোবো হিন্দি মুভি " জাই হো " এর মত চারা রপনের একটা চেইন প্রক্রিয়াতো সৃষ্টি করতে পারি ??
একজন সেলেব্রেটি হিসাবে, একজন ভালো ব্লগার হিসাবে, একজন ভালো নাগরিক হিসাবে আপনি জাস্ট একটা ডাক্তো দিয়ে দেখতেই পারেন ?
কত মানুষ মুখিয়ে আছে এমন একটি পথের জন্য যেখানে তারা দেশের সেবার সাযোগ পাবেন।
আমার বিশ্বাস আমাররা আবেগি জাতি দেশ বাচানোর জন্য এই কাজে অন্তথ পিছাবো না।
সব শেষে মাফ চেয়ে নিতে চাই যদি আমার কথা খারাপ লাগে তার জন্য। প্রথমের কিছু কথা দেয়া খুব একটা উচিত ছিল না তবুও দেয়ার জন্য।
আর মাফ চেয়ে নিচ্ছি বানান ভুলের জন্য কারন আমার অভ্র কী-বোর্ড প্রচুর ঝামেলা করছে।
টেগ দেয়ার জন্য ক্ষমা করবেন।
আর একটা অনুরোধ। এট রাজনৈতিক টিউন নয়। যদি ভালো টিউমেন্ট করে উতসাহিত না করতে পারেন তবে অন্তথ খারাপ টিউমেন্ট করে অন্যজনকে উতসাহিত করার আমার এই চেষ্টাকে থামিয়ে দিবেন না প্লিজ।
সব শেষে একটাই কথা বলবো গাছ লাগান, পরিবেশ বাচান।।

0 comments:

Post a Comment

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ